মোজাহার ইসলাম মোহনপুর প্রতিনিধি :-
রাজশাহীর মোহনপুর খড় বোঝাই ভুটভুটি ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে সেনা সদস্য ও ইমাম নিহতের ঘটনা ঘটেছে।প্রাথমিকভাবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে নিহত সেনা সদস্য পলাশ (২১) নওগাঁ জেলা মান্দা উপজেলার দাসপাড়া গ্রামের মমতাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি সাভার ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত। নিহত অপরজন আব্দুল কুদ্দুস (৪০) একই জেলার রানীনগর উপজেলার উপর তালিমপুর গ্রামের মৃত তোতা হাজির ছেলে। তিনি একজন ইমাম। মোহনপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সিএনজি ড্রাইভার বদিউজ্জামান (৩৭), ভুটভুটি ড্রাইভার নাজমুল ইসলাম (২৬) ও হেলপার নয়ন (২৪) কে আটক করেছে।
সিএনজি ড্রাইভার মোহনপুর উপজেলার
মাটিকাটা গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে। ভুটভুটি ড্রাইভার নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার ছাতমা হঠাতপাড়া গ্রামের নহির উদ্দিনের ছেলে। হেলপার একই উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের মৃত ফায়েজ উদ্দিনের ছেলে।
ঘটনাসুত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাত সাড়ে নয়টার দিকে রাজশাহী থেকে নওগাঁ’র উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে মোহনপুর থানাধীন মোহনপুর সরকারি হাসপাতাল গেটে রাজশাহী-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কে একটি সিএনজি অপর একটি মাহেন্দ্রা গাড়িকে ওভারটেক করার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা খড় বোঝাই ইঞ্জিন চালিত ভুটভুটির সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজি গাড়িতে থাকা সেনা সদস্য ও ইমাম রাস্তায় সিটকে পড়ে রক্তাক্ত জখম হয় এবং সেখানেই মারা যায়।
স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে মোহনপুর উপজেলা সরকারি হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষনা করেন। নিহত দুইজনের লাশ হাসপাতালে আছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ভুটভুটি গাড়ি আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া সিএনজি ঘটনাস্থলে রয়েছে। এনিয়ে মোহনপুরে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় একইদিনে তিনজনের প্রাণহানি হয়েছে।
মোহনপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি)
আব্দুল হাননান জানান, মোহনপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় আরও দুজনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। ৩১( অক্টোবর)মোহনপুর উপজেলা সাঁকোয়া গ্রামের কছিম উদ্দিনের ছেলে,আমিনুল ইসলাম(৩৪) তিনি অটোরিকশা চালক।একই সাথে আহত হয়েছেন,নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলা তেতুলিয়া গ্রামের মোটরসাইকেল আহরী মুস্তাহিদ হোসেন(২৭) আজ,০১( নভেম্বর) বেলা ১০ টা, সময় উপজেলার খাঁরইল মেলঘর মহাসড়কের পার্শে বালু রাখার জন্য অটোরিকশা উলটে আমিনুল ২৪( নামের একজন আহত।একই দিনে কেশরহাট পৌরসভার আটা মেলের সামনে আরও দুইজন আহত ও নিহত একজন। উপজেলা সাঁকোয়া গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে, আরাফাত (২২),নিহত হয়। নাদিমের ছেলে, আহাদ(২৬) সংঙ্গে ছিলেন সাগর (২২),একই গ্রামের তারা, মোটা চাকার ভ্যান গাড়ি উল্টে দুর্ঘটনার শিকার হোন।আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।