1. admin@godagarinews24.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
থানা ভাংচুর মামলায় পুকুর সিন্ডিকেটের মূল হোতা বিশু গ্রেফতার রাজশাহী জেলার ডিবি পুলিশ অভিযানে ২৪ কেজি গাঁজা ও একটি ট্রাক জব্দ-সহ গ্রেফতার-৩ মোহনপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ১ জন নিহত রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে এক গৃহবধূর আত্মহত্যার অভিযোগ মোহনপুরে পানিতে ডুবে আড়াই বছরের শিশুর মৃত্যু! মোহনপুরে আলুর বীজ নিয়ে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটে দিশেহারা কৃষক!প্রশাসনের সতর্কীকরণ সভা গোদাগাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহীর মর্মান্তিক মৃত্যু গোদাগাড়ীতে নাইট মিনি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত পুরাতন ঐতিহ্য ধরে রাখতে ৪৪ বছর যাবত একই পেশায় ছালিমউদ্দিন মোহনপুরে সড়ক-দুর্ঘটনা নিয়ে সদর সার্কেল হেলেনার অভিযান

পুরাতন ঐতিহ্য ধরে রাখতে ৪৪ বছর যাবত একই পেশায় ছালিমউদ্দিন

  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৪৪ বার পঠিত

সাইফুল ইসলাম, রাজশাহী, (গোদাগাড়ী) প্রতিনিধি

বংস পরমপরায় পুরাতন ঐতিহ্য ধরে রাখতে ও জীবন জীবিকার তাগিদে ২৫ থেকে ৩০ কিলো: পায়ে হেটে আবহমান গ্রাম বাংলার বিভিন্ন এলাকায় ৪৪ বছর যাবত বাশের তৈরী(হস্ত শিল্প) সরপেস, ঝাকা, টাপা, কুলা, চালুন মাটি বহনের কাজে ব্যহত ডালি, বড়ি শোকানো বানা, সহ হরেক রকমের মালামাল বিক্রি করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন।৬৬বছর বয়সী এক বৃদ্ধ।

তিনি হলেন রাজশাহী জেলার মোহন উপজেলার ফুলসু গ্রামেম মৃত গাফফার হোসেন এর পুত্র ছালিম উদ্দীন । ১২ নভেম্বর রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়ি হাটে দেখা হয় ভ্রাম্যমান হস্তশিল্প বিক্রেতা ছালিম উদ্দীন এর সাথে।তিনিএক আলাপ কালে এ প্রতিবেদককে বলেন ১৯৫৮ সালে তার জন্ম প্রাথমিক বিদ্যালয় এর গণ্ডি পেরিয়ে লেখাপড়ায় আর এগোতে পারেননি অর্থাভাবে ।

বাবা ছিলেন একজন (হস্তশিল্প) বিক্রেতা । বাবার পেশা ধরে রাখার উদ্দেশ্যে বাবার সঙ্গে ৮ বছর ট্রেনিং নেন হস্তশিল্প বিক্রয়ের উপর । এরপর ১৯৮০ সালে শুরু করেন (হস্ত শিল্প) বিক্রয়ের কাজ। নিজ উপজেলার মোহনপুরের কেশর হাট থেকে ৪০০০হাজার থেকে ৫০০০ হাজার টাকার কুলা,ঝাটা,চালুন,ঝাকা,সরপেস, বড়ি শুকানো বানা,সহ হরেক রকমের মালামাল( হস্তশিল্প )নিয়ে রাজশাহী জেলার কয়েকটি উপজেলায় বিক্রি করে আসছেন।তিনি জানান ৪০০০ থেকে ৫০০০ হাজার টাকার মালমাল (হস্তশিল্প) বিক্রি করলে১০০০থেকে দেড় হাজার টাকা লাভ হয় ।

নিজস্ব কোন জমি-জামা নেই বৃদ্ধ ছালিম উদ্দিনের। এ আয় থেকেই চলে তার সংসার। ইতিমধ্যে হস্তশিল্প বিক্রি করে এ আয় থেকেই ২টি ছেলে ও একটি মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন ছালিমুদ্দিন ।

বর্তমানে ছেলেমেয়েরা সবাই ভালো আছে, দুঃখের বিষয় হলো ৭ বছর হল আমার স্ত্রী মারা গেছে। আমি আপাতত এখনো সুস্থ আছি, ভেবেছি যতদিন বেঁচে আছি, কারো কাছে যেন হাত না পাততে হয়, তাছাড়া একাই বাসায় বসে থেকে সময় কাটে না তাই পুরাতন ঐতিহ্য ধরে রাখতে এই ব্যবসাটি পরিচালনা করে আসছেন। তিনি আরো জানান যতদিন তিনি বেঁচে থাকবেন বাবার পেশা ও পুরাতন ঐতিহ্য ধরে রাখতে এ ব্যবসার সাথে যুক্ত থাকবেন বলে জানান ৬৬ বছর বয়সি বৃদ্ধ ছালিমুদ্দিন ।

Facebook Comments Box
এই জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ গোদাগাড়ী নিউজ 24
Theme Customized By Shakil IT Park