মিলন হেমব্রম, গোদাগাড়ী (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীতে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে আমাদের করনীয় বিষয়ক মতবিনিময় ও শীর্ষক সেমিনার করা হয়েছে। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) সকালে রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমীর আয়োজনে অডিটোরিয়ামে রাজশাহীর জেলার বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও উদ্দোক্তাদের নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জনাব কল্যাণ চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাজশাহী ও উপ-পরিচালক রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি।
এসময় বক্তারা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে তাদের সুচিন্তিত ও অত্যন্ত মূল্যবান বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তারা বলেন, বিগত ১২ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস, উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার। বক্তারা আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদশের ধারনাটিরমূল ভিত্তি আসলে ৪ টি ১। স্মার্ট সিটিজেন ২। স্মার্ট গর্ভনমেন্ট ৩। স্মার্ট ইকোনমি এবং ৪। স্মার্ট সোসাইটি।
রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আমাদের স্মার্ট গভর্নমেন্ট শুধু সময় ও ব্যয়সাশ্রায়ী একটি সরকার নয়, বরং একইসাথে একটি দক্ষ, জনবান্ধব, পরিবেশবান্ধব, দুর্নীতি কিংবা অনিয়মমুক্ত সরকার।’ এছাড়া তিনি আরো বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী ২০৪১ সালে আমাদের স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশের পো সমাজটিই হবে প্রযুক্তিবান্ধব একটি সমাজ। যার অর্থ হলো-এই সমাজটির সকল মানুষ এবং সবকিছুতে থাকেবে প্রযুক্তির নৈতিক, যৌত্তিক ও সর্বোচ্চ কল্যাণকর প্রয়োগ।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের গভর্নমেন্ট হবে এমন একটি সরকার যা হবে Paperless, Accountable, Presenceless এবং Transparent । ‘স্মার্ট সিটিজেন’–রা হবেন বুদ্ধিদীপ্ত, দেশপ্রেমিক, মানবিক ও উদ্ভাবনী। আর স্মার্ট বলতে এখানে শুধুমাত্র সময়োপযোগী নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার করাই নয়, বরং যে কোনো প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা, প্রযুক্তির অপব্যবহার কিংবা ভুল প্রয়োগ না করা ও ভবিষ্যৎ পৃথিবীর যে কোনো প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার পাশাপাশি নিজেদের অর্জিত তথ্য প্রযুক্তির জ্ঞানকে দেশ ও মানবতার কল্যাণে সর্বোচ্চ কাজে লাগানোকে বোঝানো হচ্ছে।
এই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন, জনাব বেঞ্জামিন টুডু গবেষণা কর্মকর্তা, রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জনাব আকবারুল হাসান মিল্লাত ও জনাব ডেভিড হেমব্রম আঞ্চলিক পরিচালক, কারিতাস, রাজশাহী এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষার্থী ও গুনীজনরা।