রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার ডিঙ্গাডোবা মোজাম্মেলের মোড়ের এক ভুক্তভোগী নারী লিজা খাতুন জানায় যে, আমার স্বামী বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিল এ সময় রাজশাহী মহানগর ডিবির কনস্টেবল মাহফুজুর রহমান আমার স্বামীকে দেহ তল্লাশি করে অবৈধ মাদকদ্রব্য কোন কিছু না পেয়ে গত ২২/০৫/২৪ ইং তারিখে গ্রেফতার করিয়া ডিবি অফিসে নিয়ে যায়। আমি পরে জানিতে পারিয়া ডিবি অফিসে কনস্টেবল মাহফুজুর রহমানের সাথে কথা বলিলে তিনি আমাকে বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি দেখাইয়া বলে যে, ৮০ হাজার টাকা নিয়ে আসো না হলে হিরোইন মামলা দিব। আমি তার কথা বিশ্বাস করিয়া ৮০ হাজার টাকা দিই। টাকা দেওয়ার পরেও আমার স্বামীকে গাঁজার মামলা দিয়ে বিজ্ঞ আদালতে চালান দেয়। তারপরে গত ১২/০৬/২৪ ইং তারিখে জামিনে বের হয়ে আসার পরে গত ১৩/০৬/২৪ ইং তারিখে আমার স্বামীর মোবাইল ফোন ডিবি অফিসে আনিতে গেলে মাহফুজুর রহমান আমার কাছ থেকে ১৫০০ টাকা নিয়ে মোবাইল ফোনটা দেয়। এবং আরো বলে যে, ডিবির ডিসি স্যার আমার খুব কাছের লোক আমাকে অনেক ভালোবাসেন।আমাকে প্রতি মাসে দশ হাজার টাকা দিলে হবে। তোমরা মাদক ব্যবসা করো কোন সমস্যা হবে না।
এর মধ্যে রাজপাড়া থানার আইডি বাগানপাড়া এলাকার সাইদা ও জনের কাছে থেকে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা করে নিতেন মাহফুজ, এছাড়া ওই এলাকার মাদক ব্যবসায়ী রফিকুল কাছে থেকে নিতেন ৫ হাজার, বুবলবুলির কাছে থেকে নিতেন ১০ হাজার, স্বপনের কাছে থেকে নিতেন ৫ হাজার।
বেশ কিছুদিন আগে মাদক কারবারির কাছে হেরোইন বিক্রির একটি অডিও ফাঁস হওয়ার পরেও রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কনস্টেবলের মহাফুজুর রহমান। গত ২৫ এপ্রিল বিভিন্ন গনমাধ্যমে মাদক কারবারির কাছে তার হেরোইন বিক্রির তিন মিনিট ৩৩ সেকেন্ডের একটি কল রেকোর্ড ফাঁস হয়। একজন পুলিশ সদস্য হয়ে এতো বড় অপকর্মের পরেও ডিবি পুলিশেই কর্মরত আছেন মাহফুজ। একজন উর্ধতন কর্মকর্তার অশ্রয়ে ও প্রশ্রয়ে তিনি ব্যপরোয়া হয়ে উঠেছে। এ জন্য এতো বড় অপকর্মের পরেও এখন পর্যন্ত তাকে বহাল রাখা হয়েছে আরএমপি (ডিবি) পুলিশেই বলে জানা গেছে।
কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে নিজের বদলী আটকে রেখে দীর্ঘদিন যাবৎ ডিবি পুলিশেই কর্মরত রয়েছেন মাহফুজুর রহমান। এ কারনে বিভিন্ন মাদক স্পর্ট থেকে মাসোয়ারাসহ মাদক কারবারিদের সাথে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে তার।এ বিষয়ে বর্তমানে ডিবির ওসি মতিয়ার রহমান কে কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেননি।